(ঢাকা) ৯ই আগস্ট ২০২১, সোমবার: সামিট কর্পোরেশন এবং বেক্সিমকো হোল্ডিংস, দেশের দুটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জাগো ফাউন্ডেশনকে ৪৫ মিলিয়ন টাকার বার্ষিক মিলিত-অনুদান প্রদান করেছে যাতে করে জাগো সারা দেশে ৪,০০০ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে। জাগো, তাদের ইউনেস্কোর পুরুষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষার মডেল ব্যবহার করে মহামারীকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় টেলিফোন, শর্ট মেসেজিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করবে। আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খুলে গেলে, অনুদানটি ডিজিটাল স্কুল পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের দুটি কর্পোরেট মিলিত হয়ে এতো বিশাল অংকের অনুদান কোন দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করল।
সামিট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, "সারা বাংলাদেশে জাগো-এর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওয়েব-ভিত্তিক শিক্ষার মডেল হয়ত ভবিষ্যতের পড়াশুনারই মডেল। করভি যা ভেবেছে তা আমাদের আগামীতে অনুসরণ আর অনুকরণ করা উচিত। সামিট দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাগো-এর এই ইন্টারনেট-ভিত্তিক স্কুলগুলিকে সাহায্য করবার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জাগো শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা পুরস্কার পেয়েছে, তেমনি তাঁরা নোবেল পুরস্কারের দাবিদার।"
“প্রতিটি শিশুর আছে শিক্ষার অধিকার - আছে অধিকার স্কুলে যাওয়ার এবং শেখার। তবে অনেকের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারীতে সেই অধিকারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে,” বলেন বেক্সিমকো গ্রুপের বোর্ডের উপদেষ্টা শায়ান এফ রহমান। “সৌভাগ্যবশত, দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে অনেকের জন্য দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরী করতে পেরেছি। বেক্সিমকো এবং সামিটকে সাথে নিয়ে, জাগোর মাধ্যমে চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে গর্বিত।"
“সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাখাত। এই বৈশ্বিক মহামারীতে স্কুল -কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন একটি মুহূর্তে, সামিট এবং বেক্সিমকো, শিক্ষাখাতকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টর দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে আসার এটি একটি উদাহরণ। আমি আশা করি যে এই উদ্যোগ অন্যান্য কর্পোরেটদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জাগাবে এবং সমাজে একটি পরিবর্তন আনবে, ” বলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ ।
এই ঘোষণা উপলক্ষে, জাগো ফাউন্ডেশন একটি ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে সামিট গ্রুপ অফ কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ ফাদিয়া খান, আজিজা আজিজ খান ও সালমান খান উপস্থিত ছিলেন। বেক্সিমকো থেকে ছিলেন গ্রুপ ডিরেক্টর আজমল কবির ও নির্বাহী পরিচালক, বেক্সিমকো গ্রুপ, সামিরা জুবেরী হিমিকা। এছাড়াও ছিলেন জাগোর প্রথম ব্যাচের দুই ছাত্র ফাতেমা ও লেনিন। ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি নবনিতা চৌধুরী সঞ্চালনা করেন।
এই ৩-বছর মেয়াদী মিলিত-অনুদান ব্যবহার করে জাগো আশা করে প্রান্তিক শিশুদের জীবনে একটি টেকসই পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং এটি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
জাগো ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমঃ ২০০৭ সাল থেকে জাগো ফাউন্ডেশন সারা বাংলাদেশে হাজারো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদান করে আসছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, জাগো দেশের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য জাগো ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালে বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রিন্স অফ ওয়েলস, প্রিন্স চার্লসের কাছ থেকে মোজাইক আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। সম্প্রতি ২০২১ সালের মে মাসে, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ মহামান্য রানীর কাছ থেকে কমনওয়েলথ পয়েন্ট অব লাইট অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন, বিশেষ করে তাদের যুব কর্মসূচী, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) -এর অধীনে করোনা ভাইরাস সংকটে ৪০,০০০ এরও বেশি স্বেচ্ছাসেবককে একত্রিত করার জন্য। ভিবিডির লক্ষ্য তরুণদের ক্ষমতায়ন, স্বেচ্ছাসেবীতা, স্ব-স্থিতিস্থাপকতা ও বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি এবং তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা। বর্তমানে, ৪০০০ প্রান্তিক শিশুরা বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রমের ইংরেজি সংস্করণে বিনা-মূল্যে মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করছে।
Facebook/Twitter: @JAAGO Foundation
LinkedIn: JAAGO Foundation
YouTube: JAAGO Foundation
Website: www.jaago.com.bd
সামিটের সিএসআর কার্যক্রম: সামিট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান এবং আমরা আমাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) কার্যক্রমের মাধ্যমে যে সকল এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করি সেখানকার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সেবার সুবিধা উন্নত করার সমর্থন করার লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সঙ্গে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব আছে। সামিটের একটি সিএসআর কমিটি আছে যাতে কোম্পানির জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের উপস্থিতি আছে এবং ইতিপূর্বে সামিট সিএসআর কার্যক্রমের জন্যে পুরস্কৃত হয়েছে।
Facebook/Twitter: @summitpowerintl
LinkedIn: Summit Power International
YouTube: Summit Power International
Website: www.summitpowerinternational.com
বেক্সিমকোর সিএসআর কার্যক্রমঃ বেক্সিমকোতে, আমরা একটি বৃহত্তর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার জন্য নৈতিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত। আমাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) উদ্যোগগুলি, সমাজে আমাদের একটি অর্থপূর্ণ প্রভাব করবার অটল অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন। রানা প্লাজা দুর্যোগ থেকে কোভিড -১৯ মহামারীর দুর্যোগ, আমরা প্রতিনিয়ত দেশের প্রয়োজনে দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা স্বাবাভিক সময়েও বৃহত্তর উদ্দেশ্যে নিয়মিত সহায়তা দিয়ে আসছি। আমরা আমাদের দাতব্য কার্যক্রম ব্যাপ্তি প্রসারিত করে যাব মানুষের জীবন উন্নয়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতিক অঙ্গনে।
Facebook: www.facebook.com/TheBeximcoGroup
Twitter: www.twitter.com/Beximco_Group
LinkedIn: www.linkedin.com/company/beximcogroup
Website: www.beximco.com
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ
JAAGO Foundation:
Tanvir Muzaddid
Sr. Communication Manager,
M: 01777742128
Email: tanvir.muzaddid@jaago.com.bd
Summit Corporation:
Mohsena Hassan
Whatsapp and Mobile: +8801713081905
Email: mohsena.hassan@summit-centre.com
BEXIMCO Group:
Mamunur Rashid
mamun@beximco.net
+8801711522090